প্রকাশিত: Sat, Jan 14, 2023 3:47 PM
আপডেট: Sat, Jun 14, 2025 11:10 PM

‘নোবেল শান্তি পুরস্কার’বিজয়ী মার্টিন লুথার কিংয়ের জন্মদিন, তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণের শিরোনাম ছিলো, ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’

আশিক নূরী : [১] মার্টিন লুথার কিং বা ‘মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র’ ছিলেন বিখ্যাত আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী। তাঁর খিস্ট্রীয় ধর্মবিশ্বাস ও মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলন দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি নাগরিক ও মানবাধিকার আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যান। আমেরিকায় নাগরিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনের জন্য ১৯৬৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে তিনিই সর্বকনিষ্ঠ। [২] ১৯২৯ সালের ১৫ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার আটলান্টায় মার্টিন লুথার কিং জন্মগ্রহণ করেন। শ্রদ্ধেয় মাইকেল কিং সিনিয়র এবং আলবার্টা উইলিয়ামস কিং এর তিন সন্তানের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। [৩] কিং ‘বুকার টি. ওয়াশিংটন হাই স্কুলে’ পড়াশোনা করেন এবং ১৯৪৪ সালে ১৫ বছর বয়সে মোরহাউস কলেজ আটলান্টাতে ভর্তি হন। ১৯৫৫ সালে তিনি বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ফিলোসোফি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটন অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচিতে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণের শিরোনাম ছিলো, ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’। 

[৪] কর্মজীবনের শুরুতে মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র মানবাধিকার কর্মী ছিলেন। নাগরিক অধিকার রক্ষাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিলো। মহান এই খ্রীস্টাননেতা ১৯৫৫ সালে মন্টোগমারীতে বাস বয়কটের গড়হঃমড়সবৎু ইঁং ইড়ুপড়ঃঃ নেতৃত্বদান করেন। ১৯৬২ সালে তিনি আলবেনিয়া ও জর্জিয়াতে ব্যারথ অভিযান চালান। ১৯৬৩ সালে তিনি ওয়াশিংটন মাচ সুসংগঠিত করেন। তিনি একজন সফল বক্তা হিসেবে পরিচিত। [৫] মার্টিন লুথার কিং ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার’ (১৯৬৪ সালের ১৪ অক্টোবর তার অহিংস আন্দোলনের জন্য) পুরস্কার লাভ করেন। ৪ এপ্রিল ১৯৬৮ সালে মারা যান তিনি।